সনাতন ট্রিবিউন: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়নের বাসিন্দা রোজার মাসে পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিভা রানী (৬৪) কে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার (১৯শে মার্চ) দুপুর ১ টার দিকে নাটেহারা গ্রামের গাজী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নুরুল আমিন ওই গ্রামের মো. কলিম উদ্দিন গাজীর ছেলে। মারধরের শিকার প্রতিভা রানী একই গ্রামের হরিদাস বেপারী বাড়ীর সুকুমার চন্দ্র দাসের স্ত্রী।
এরপর গত বুধবার (২০ মার্চ) এই ঘটনায় প্রতিভা রানীর ছেলে বিষু চন্দ্র দাস নুরুল আমিনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন আসামির বাড়ীর কাছে পাতা কুড়াতে যায় প্রতিভা রানী। তখন নুরুল আমিনের স্ত্রী তার ঘরের কাজ করার জন্য বলে। এতে প্রতিভা রানী সম্মত হন এবং তাকে পান দিতে বলেন। প্রতিভা রানীর পান খাওয়া অবস্থায় নুরুল আমিন দেখে তাকে গাল মন্দ করে এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং গলায় পাড়া দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার বাদী বিষু চন্দ্র দাস বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে আসামি নুরুল আমিন আমাদের পরিবারকে আইনি ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমাদেরকে ভারতে পাঠিয়ে দিবে নাটেহারা থাকতে দিবে না মর্মে হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে প্রতিভা রানীকে দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে উপস্থিত হন চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু তমাল কুমার ঘোষসহ পরিষদের অন্যান্য নেতারা। তারা প্রতিভা রাণীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং এই ঘটনার নিন্দা জানান।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিভা রানীর মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে আসামি এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি।